এস এম বাবু ( নিজস্ব প্রতিবেদক) দেশজুড়ে খুন–খারাবির ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ধারাবাহিকভাবে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটায় সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে চরম আতঙ্ক। পরিবার, সমাজ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।
গত কয়েক সপ্তাহে পারিবারিক দ্বন্দ্ব, জমি–সংক্রান্ত বিরোধ, সামাজিক কোন্দল, রাজনৈতিক উত্তেজনা ও ব্যক্তিগত শত্রুতাকে কেন্দ্র করে একাধিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, এমন পরিস্থিতি অতীতে খুব কমই দেখা গেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, বেশিরভাগ হত্যাকাণ্ডের পেছনে তাৎক্ষণিক উত্তেজনা, মাদকসেবীদের আধিপত্য বিস্তার এবং সামাজিক শৃঙ্খলার অবনতি দায়ী। তদন্ত জোরদার করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারও করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে পরিবারগুলো বলছে, ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় তাদের দুঃসহ দিন কাটছে। তারা দ্রুত অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনও বলছে, হত্যাকাণ্ড বৃদ্ধির প্রবণতা রোধে সমাজ–রাষ্ট্রকে আরও সচেতন, কঠোর এবং মানবিক হতে হবে।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন—পারিবারিক বিরোধে স্থানীয় সালিশ ব্যবস্থার দুর্বলতা মাদকাসক্তদের দৌরাত্ম্য রাজনৈতিক উত্তেজনা বিচারহীনতার সংস্কৃতি
এসব কারণেই হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা বাড়ছে।
দেশের মানুষের প্রত্যাশা— দ্রুত ও কঠোর আইন প্রয়োগ, অপরাধী দমন, সামাজিক সচেতনতা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ।